দিল্লির করোনা পজিটিভ চিকিৎসকের সঙ্গে গত ১৪ দিনে যে সব ব্যক্তি সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের কোয়ারান্টাইন করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৯০০ জনকে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, ওই ৯০০ জনের মধ্যে বেশির ভাগই দিল্লির মহল্লা ক্লিনিকে এর আগে ওই চিকিৎসককে দেখাতে এসেছিলেন, কিন্তু পরে জানা যায়, চিকিৎসক নিজেই করোনা আক্রান্ত।
জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে ফেরা এক করোনা আক্রান্ত মহিলার সংস্পর্শে আসার পরই আক্রান্ত হন ওই চিকিৎসক, তারপর রোগ ছড়ায় চিকিৎসকের স্ত্রী, কিশোরী মেয়েসহ আরো একজনের শরীরে। ওই চিকিৎসক উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটি মহল্লা ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। ফলে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী তার কাছে এসেছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানেই চিকিৎসকের শরীর থেকে ওই মারণ ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে অন্যদের শরীরেও।
রাজধানীর অলিতে গলিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেয় মহল্লা ক্লিনিকগুলো। চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার আশায় প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমান অসংখ্য রোগী। মৌজপুরের ওই ক্লিনিকে ১২ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, যারা ওই চিকিৎসককে দেখাতে এসেছিলেন তাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে যে নিজেদের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখলেই তৎক্ষণাৎ সেকথা স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে জানাতে হবে।
বর্তমানে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, COVID-19-এর সংক্রমণে ভারতে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের লকডাউন পর্ব চলছে ভারতে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত খুব প্রয়োজন ছাড়া দেশবাসীকে ঘরের চৌকাঠ না পেরোনোরই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে করোনা আতঙ্ককে আরো বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে যে শুধুমাত্র লকডাউন করে ওই মারণ ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকানো যাবে না। হু-এর মহানির্দেশক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন যে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে শুধুমাত্র ঘরবন্দি থাকা দেশ তথা গোটা বিশ্ব থেকে এই ভাইরাস নির্মূল করার পক্ষে যথেষ্ট পদক্ষেপ নয়। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরো আক্রমণাত্মক হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।
সূত্র : এনডিটিভি